কৃষ্ণা বসু (১৯৩০-২০২০) কিশোরী বয়স থেকে ছিলেন ‘বইয়ের পোকা’। বিদগ্ধ পিতা চারুচন্দ্র চৌধুরীর লাইব্রেরিতে দেশ-বিদেশের বইয়ের সম্ভারে ডুবে থাকতেন। লেখিকা কৃষ্ণার উৎস এবং উত্তরণ সেখান থেকেই।
১৯৫১ সালে প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ‘দ্য স্টেটসম্যান’ পত্রিকায়। ১৯৫৪-এ প্রথম বাংলা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়, বিষয় মডার্ন আর্ট। ডিসেম্বর ১৯৫৫-এ শরৎচন্দ্র বসুর পুত্র ডা. শিশিরকুমার বসুর সঙ্গে বিবাহের পর কৃষ্ণা নেতাজি সুভাষচন্দ্রের জীবন ও আদর্শ-চর্চায় উদ্বুদ্ধ হন। সুভাষ-সংক্রান্ত প্রথম প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ১৯৬২-র ২৩ জানুয়ারি, ‘যুগান্তর’ পত্রিকায়— ‘বাসন্তী দেবীর কাছে শোনা কাহিনি’।
কুড়িটি বই এবং কয়েকশত প্রবন্ধ কৃষ্ণা বসুর সাত দশকের লেখক-জীবনের ফসল। শেষ প্রবন্ধ ফেব্রুয়ারি ২০২০-তে প্রকাশিত, ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’য়।
এই প্রবন্ধসংগ্রহে রয়েছে কৃষ্ণা বসুর ১০৬-টি লেখা। আছে নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজ সম্বন্ধে তাঁর অমূল্য প্রবন্ধের অনেকগুলি। তবে কৃষ্ণার লেখার পরিধি ছিল খুবই বিস্তীর্ণ। আধুনিক শিল্পকলা ও
দেশ-বিদেশের সাহিত্যের আলোচনা, রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে লিখিত প্রবন্ধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, সবই আছে এই সংগ্রহে। সেইসঙ্গে আছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতবর্ষের বর্তমান রাজনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও সমাজ সম্পর্কে কৃষ্ণা বসুর সুগভীর চিন্তা-প্রসূত বহু প্রবন্ধ।