তিন শো বছরের কলকাতাকে নিয়ে এখন অনেক উৎসব, অনেক উচ্ছ্বাস। কেউ স্মরণ করছেন ঐতিহ্যকে, কেউ শপথ নিচ্ছেন উত্তরাধিকারের। আর এরই মধ্যে সব-থেকে তৃপ্তিকর কাজটি করলেন কবি-প্রাবন্ধিক সাধনা মুখোপাধ্যায়। পুরনো কলকাতার রন্ধনশালার বিশাল, বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে তুলে দিলেন এ-যুগের উত্তরাধিকারীদের হাতে। সত্যিই বিপুল ও বহুবিচিত্র ‘পুরনো কলকাতার রান্নাবান্না’র সেই তালিকা, যা এ-বইয়ের সূচীপত্র থেকেই রসনাকে করে তোলে রসসিক্ত। সে-আমলে পরিবার মানেই একান্নবর্তী। হেঁসেল জুড়ে মা-ঠাকুমা-জেঠিমা-কাকিমা-পিসিমাদের মিলিত উদ্যোগ। নানা রুচি নানা স্বাদ রান্নার এক এলাহি আয়োজন। সেই আয়োজন থেকেই অসংখ্য রান্না শিখিয়েছেন সাধনা মুখোপাধ্যায়। তার মধ্যে মোচার আমষোল কি কাঁচকলার হিঙ্গির মতো বনেদি ব্যঞ্জন যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে নিত্যকার শুক্ত, ডাল, ঘন্ট, ছেঁচকি, চচ্চড়ি, ডালনা, কালিয়া, ধোঁকা, অম্বলের কথাও। শুধু পায়েসই তিরিশ রকম। আর, সব-কিছুই শিখিয়েছেন এ-কালের উপযোগী করে। যাতে সহজে হয়, চটপট হয়।