চৌদ্দ বছরের কিশােরী এরেন্দিরার দুর্ভাগ্য চরম আকার ধারণ করে দাদীমার বিলাসবহুল প্রাসাদে আশ্রয় নেয়ার। পর থেকেই। দাদীমার মতে এরেন্দিরার জন্য সে যা করেছে সেই ঋণ শােধ করতে তার সারাজীবন লাগবে। শুরু হয় এরেন্দিরার দেহপসারিণীর জীবন। প্রতিদিন। প্রতিরাত দাদীমা তাকে বিক্রি করতে লাগল অগণিত পুরুষের কাছে। দুর্ভাগ্যের বেড়াজালে ক্রমশ শৃঙ্খলিত হতে থাকে সে। এই সময়েই এরেন্দিরার সাথে পরিচয় হয় ইউলিসিসের। মুক্তির স্বপ্ন তার মনে উঁকি দিতে শুরু করে। গল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র এরেন্দিরার দাদীমা। থলথলে চর্বিবহুল দেহ। সারাদিন একটা চেয়ারে বসে থাকেন যা দেখতে সিংহাসনের মতাে। সামনে রাখা থাকে প্রচুর খাবার। বড় বড় থাবায় সেই খাবারগুলাে খেতে খেতে এরেন্দিরাকে অনবরত উপদেশ দিতে থাকেন তিনি। এরেন্দিরার জীবনের উপর দাদীমার কর্তৃত্ব যেমন মর্মস্পর্শী একই সাথে তার নিজের জীবনের মতােই কৌতূহল উদ্দীপক। আর তাই গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাদীমার চরিত্র পাঠকের মনােযােগ আকৃষ্ট করবে। তাকে বলা যায় বর্তমান ল্যাটিন আমেরিকা এবং বাকী দুনিয়ার দুর্নীতিপরায়ণ বিভিন্ন সংস্থা এবং রাজনীতিবিদদের বিমূর্ত প্রতিচ্ছবি। এরেন্দিরার জীবনের কাহিনী যেমন হাস্যকর তেমনি মর্মস্পর্শী। ঘটনার প্রতিটি বর্ণনা গল্পের চরিত্রের মুখ থেকে বেরুনাে প্রতিটি বাক্য মিলে এক ধরনের যাদুবাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে।