এক প্রাচীনতম বৃত্তি। ক্ষুধার মতো যৌনতাও সহজাত। যৌনসুখ পাওয়ার আকাঙক্ষায় মানুষ তার নিজের সমাজেই সৃষ্টি করেছে এমন একটি জায়গা যা রহস্যে আবৃত, লালবাতির নিষেধ ও চিহ্ন তাকে ঘিরে রেখেছে। এই এলাকায় যাঁরা থাকেন, দেহ বিক্রি করেন তাঁদের নিয়েই এই বই। তাঁদের চোখের জল, শরীরের খেদ, বঞ্চনা, সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন বাস্তবতা এবং অলিগলি চোরাপথে তাঁদের অপরিবর্তিত থাকার ঝোঁক— এই বইয়ের কাহিনি থেকে কাহিনিতে পরিব্যাপ্ত। এই নীল পরিরা লেখিকাকে আপন করে নিয়ে উজাড় করে বলেছেন তাঁদের জীবনের নানা কথা- বিষাদ, ক্লেদ, সংগ্রাম ও আশা-নিরাশার গল্প। এই গল্প সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি চরিত্র চরম বাস্তব। লেখিকা সংস্কারহীনভাবে নির্দ্বিধায় এই নারীদের জীবনের নগ্ন সত্যকে তুলে ধরেছেন। ভাষা ও শব্দ ব্যবহারে কিংবা পরিবেশের বর্ণনায় তথাকথিত শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে গেছে মনে হলেও, কোথাও আপস করেননি। দেশ-বিদেশ ঘুরে এই পেশায় রত নারীদের যে-জীবন তিনি পরম মমতায় এঁকেছেন, তা আমাদের অভিজ্ঞতার বাইরে। অথচ যুগের পর যুগ ধরে, এই প্রশ্নদীৰ্ণ চোরাস্রোত বয়ে চলেছে নিজের একান্ত নিষিদ্ধ পথ ধরে, অনাগত ভবিষ্যতের দিকে। বিনীত অভিনিবেশে লেখিকা উত্তর খুঁজেছেন তাঁদের জীবনযাপনের কাছে গিয়ে।