যতই ফাস্ট ফুডের রমরমা হোক, রান্নাঘরকে জীবন থেকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। অণুপরিমাণ ফ্ল্যাটেও কিচেনের সগৌরব উপস্থিতি। রান্নাঘর এবং রান্না আসলে জীবনযাপনের অচ্ছেদ্য অঙ্গ। রান্নাঘরে ঢুকতে হবে শুনলেই যাদের গায়ে জ্বর আসে এবং যারা রান্নাবিমুখ তাদের কথা ভেবেই এই বইয়ের পরিকল্পনা। আরও সংক্ষেপে বললে রান্না-বান্নায় যারা নভিস, সদ্য খুনতি হাতে নিয়েছেন তাদের জন্য এই হাতেখড়ির ব্যবস্থা। রান্না করার শুরুর দিনগুলোতে, রান্না শেখার প্রাথমিক পর্বে তাদের যাতে হিমসিম খেতে না হয়, সেই কথা মনে রেখে মকটেল থেকে ডেজার্ট—একটি মেনুর সব পদই এখানে শেখানো হয়েছে হাতে ধরে। শুক্তো, ঘণ্ট থেকে বিরিয়ানি, পোলাও, কাবাব, পাস্তা, পাই, পুডিং, কেক, বেক্ড আলাস্কা থেকে মায় পাটিসাপটা তৈরির সমস্ত ‘নো হাউ’ এই বইয়ের পাতায় পাতায়। সব রকমের রান্না শেখানো হয়েছে তিনটি ধাপে—হাতেখড়ির রান্না, হাত পাকাবার রান্না ও পাকা হাতের রান্না। অর্থাৎ যে-মেয়েটি আদৌ খুনতি ধরতে জানত না, বইয়ের গোড়া থেকে শেষ অবধি ধাপে ধাপে এগোলে সে একেবারে পাকা রাঁধুনি হয়ে যাবে। এই বইয়ের আরও বিশেষত্ব, যাঁদের লেখাপড়া বা কাজের জন্য একলা থাকতেই হয়, তাঁদের কাছে ‘রান্নার হাতেখড়ি’ একেবারে ফ্রেন্ড-ফিলজফার-গাইড!