ছড়া নিয়ে জড়াজড়ি
প্রিয় পাঠক আসুন আমরা ছড়া নিয়ে একটু পড়া পড়ি একটু জড়াজড়ি কিংবা ধরাধরি করি। অনুরোধ একটু সয়ে সয়ে পড়বেন। ছড়া শুনেই বা দেখেই মেজাজ চড়া না করে একটু পরে পরে পড়ে যাবেন। বসে পড়তে পারেন, শুয়েও পড়তে পারেন। আমরা মানুষেরা অনেক কিছু করতে পারি। কিন্তু সামান্য মুরগি যা পারে আমরা কিন্তু তা করতে পারি না। না, ভুল হলোরে ভাইডি, মানুষ নাকি আজকাল ডিমও পাড়তে পারে! দেখছেন মানুষের কত রকমের বুদ্ধি! হা, সেদিন আমি আমার নাতনিকে বলেছি, তুমি ডিম পাড়তে পারো? কিছুক্ষণ থম মেরে থেকে ঝলকিত হয়ে বলল, হা, পারি। কি ভাবে? এই যে দেখাচ্ছি, এই বলে সে একটা উপরে থাকা পাতিল হতে ডিম পেড়ে নিয়ে আসল। আমরা তো তাজ্জব! অনেক ছড়ার মধ্যে এই রকমের একটা ব্যাপার থাকতে পারে।
বর্তমানের ছড়া সাহিত্য আধুনিক এবং স্মার্ট সাহিত্য। একই সাথে আন্তর্জাতিক। ছড়া আগেও মুখে মুখে ছড়িয়ে ছিল এখন শুধু মুখেই ছড়িয়ে থাকে না এখন কম্পিউটারে, মোবাইলে, ফেইসবুকে প্রতিটি মিডিয়ার প্রচারে এই ছড়াকে জড়িয়ে ধরেছে। নানান অনুষঙ্গ নিয়ে ছড়া মজুদ করা হয়েছে। বেশি কমুনা, দিলাম একটু নমুনা;
‘বুকে যদি নাও জড়িয়ে মানুষ নামক বন্ধুকে
তখন কে আর বানায় বোমা ট্রিগার চাপে বন্দুকের?
মানবতার জয় পতাকা থাকবে কেন সিন্দুকে
সুযোগ পেলেই বলতে থাকে নানান কথা নিন্দুকে
নিন্দা এবং মন্দকথায় শত্রু করি বন্ধুকে
শব্দ বোমায় ধার ধারে না এটম বোমা বন্দুকের!’
শেষে বলি, আমি যে ছড়াগুলো লেখেছি সে সব ছড়াগুলো লেখার সুযোগ শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনো পাননি। যার জন্য আমি লেখার সুযোগ পেয়েছি। আপনারাও ইচ্ছা করলে লেখতে পারেন।