অনেকে বলবে: এই আধুনিক যুগে ভূত-পেতনির কথা কেন? আমরা বলব: এখনও কি ‘তেনারা’ নেই! এখনও কি রাক্ষস-খোক্ষস, দৈত্য-দানো, রাজা-রানি, রাজপুত্র-মন্ত্রীপুত্র-কোটালপুত্র নেই? নেই কি বাঘ-ভাল্লুক-সিংহ মামার হালুম-হুলুম? তর্জন-গর্জন? দৈত্য-দানোর দাপানি-লাফানি আর মানুষের ঘাড় মটকে রক্ত খাওয়ার তেষ্টা? তাদের ভিড়ে আবার দয়ালু জিন-পরি আর উপকারী দরবেশ বাবাদের উপস্থিতিও কি নেই? হ্যাঁ- এখনো সবই আছে, তবে অন্যভাবে। অন্য কায়দায়। অন্য রূপে। আর সেসব ‘আধুনিক’ ভূত-পেতনির নানান টিরিক্স আর কলাকারি জানতে এখনই পড়ে নাও ভূতের বাড়ি দাওয়াত ছিল বইয়ের গল্পগুলো।
ছোট-বড় সব পাঠকের উদ্দেশে একটি কথা : এ বইয়ের গল্পগুলোকে কেউ বলবে বানানো। কল্পনার রঙে ভেজানো। কেউ বলবে স্রেফ বোগাস। তারপরও যদি কেউ এসব গল্পের মধ্যে নিজেদের ভুতুড়ে-পেতুড়ে ছায়া দেখতে পান, মনে করতে হবে তা একেবারেই কাকতালীয়, নয়তো শকুনতালীয় কিংবা পেঁচাতালীয়! সুতরাং সেজন্য আমাদের দোষ দেবেন না, প্লিজ! আমরা তো কেবল এ-কালের রূপকথার ‘আধুনিক’ ভূত-পেতনিদের কথাই বলেছি।