ঐতিহাসিকাল থেকেই মানুষ অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও অজানাকে জানার জন্য দেশবিদেশে ভ্রমণ করে আসছে। এখন এ সুযোগ অনেক প্রসারিত এবং সহজ। ভ্রমণ করাটা বেশ আনন্দদায়ক, কিন্তু এ বিষয়ে যখন লিখতে হয় তখন অতটা আনন্দচিত্তে লেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। ভ্রমণের সময় অনেক সময়ই সাথে গাইড থাকেন বা রাখতে হয়, যিনি দর্শনীয় স্থাপনা দেখানোর সময় ছোট শিশুদের ছড়া আবৃত্তির মতো করে দর্শনীয় স্থাপনার ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়ে থাকেন। এ সমস্ত ধারা বিবরণীর উপর আস্থা রেখে যেমন কোনোকিছু লেখা যায় না, তেমনি অত সংক্ষিপ্ত বর্ণনার উপর ভিত্তি করে কোন পুস্তক রচনাও সম্ভব রচনাও সম্ভব হয়ে ওঠে না। যে কারণে ভ্রমণ বিষয়ক লেখা লিখতে হলে তথ্য হাওলাত করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। আমাকেও এ ভ্রমণ কাহিনী লিখতে গিয়ে প্রত্যক্ষণ-লব্ধ জ্ঞান ছাড়াও বিভিন্ন সেকেন্ডারি উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে। যেহেতু এটি কোনো গবেষণা গ্রন্থ নয়। সেহেতু ফুটনোট আকারে তথ্য উৎস প্রদান অনাবশ্যক মনে করে তা সচেতনভাবেই পরিহার করেছি।