সকল বই

পুন্ডরীক সূত্র - একটি সরল ব্যাখ্যা

পুন্ডরীক সূত্র - একটি সরল ব্যাখ্যা

Author: সরোজকুমার চৌধুরী
Delivery Time: 25-45 Days , Cash on Delivery Available
  • বই উপহারঃ বই উপহারঃ
    বিস্তারিত
  • বই উপহার.. বই উপহার..
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফারঃ কম্বো অফারঃ
    বিস্তারিত
  • কম্বো অফার.. কম্বো অফার..
    বিস্তারিত
  • ফ্রি ডেলিভারিঃ ফ্রি ডেলিভারিঃ
    বিস্তারিত
Price: ৳ 900.00
+ Add to Wishlist
Publisher আনন্দ পাবলিশার্স
ISBN9789350405635
Pages500
Reading Level General Reading
Language Bangla
PrintedIndia
Format Hardbound
Category খ্রিস্ট ধর্মীয়-বৌদ্ধ ধর্মীয়
Return Policy

7 Days Happy Return

পুস্তকটি ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত ত্রিখণ্ড পুণ্ডরীক সূত্রের সরল ব্যাখ্যা। ত্রিখণ্ড পুণ্ডরীক সূত্রের তিনটি খণ্ড হল— সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্র, অমিতাৰ্থ সূত্র এবং বুদ্ধভাষিত সমন্তভদ্র বোধিসত্ত্বের তপস্যা-বিধি সূত্র। বিখ্যাত মধ্য এশিয়ার ভিক্ষু কুমারজীব (৩৪৪-৪১৩) পঞ্চম শতাব্দীর প্রারম্ভে সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্র সংস্কৃত থেকে চীনা ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। অমিতাৰ্থ সূত্র সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্রের মুখবন্ধ সূত্র এবং বুদ্ধভাষিত সমন্তভদ্র বোধিসত্ত্বের তপস্যা-বিধি সূত্র সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্রের উপসংহার সূত্র রূপে পরিচিত। ত্রিখণ্ড পুণ্ডরীক সূত্রের অন্য একটি নাম পুণ্ডরীক সূত্র। এই সূত্রগুলি ভগবান শাক্যমুনি ও তাঁর শিষ্য এবং বোধিসত্ত্বদের কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে রচিত হয়। উপমা বা রূপক ও অতীতের কর্মফলের কাহিনি দিয়ে সূত্রটিকে একটি নাটকের মতো অতীব সহজ বোধগম্য করে রচনা করা হয়েছে। শাক্যমুনি বুদ্ধ বৌদ্ধধর্মের মূল-বক্তব্য শূন্যতা ও হেতু-প্রত্যয়ের মতবাদকে ভিত্তি করে যে একবুদ্ধযানের চিন্তাধারাকে তাঁর শিষ্যদের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন, তা এই সদ্ধর্ম পুণ্ডরীক সূত্রে নিহিত আছে। এই মতবাদকে সংক্ষেপে ‘সকল প্রাণীর মধ্যে বুদ্ধাঙ্কুর বিদ্যমান’, ‘সবকিছু বেঁচে থাকার মূলে আছে শাশ্বত প্রাণ’ ও ‘নিজের সঙ্গে অন্যের মুক্তির আদর্শে অনুপ্রাণিত বোধিসত্ত্ব-মার্গের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি’, এই তিনটি কথায় প্রকাশ করা যায়। ত্রিখণ্ড পুণ্ডরীক সূত্র বহুদিন পূর্বে রচিত হয়। তখন সংস্কৃতি ও লোকাচার ছিল ভিন্ন। সেই জন্য এর কোনও কোনও অংশ একটু অদ্ভুত বলে মনে হবে। এই পুস্তকটিতে এইরূপ অংশকে অতি সরল বোধগম্য করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আর সেই সঙ্গে সূত্রের ভাষার মধ্যে যে গুহ্য অর্থ লুক্কায়িত আছে তাকে, এবং তার উপর ভিত্তি করে ‘মানুষের সত্যিকারের বাঁচবার পথ’কে আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যাখ্যাকার পুণ্ডরীক সূত্রকে যে কতবার আবৃত্তি করেছেন তার ইয়ত্তা নাই। আর এর মধ্যে যে উপদেশ নিহিত আছে তা যথাযথ পালন করতে কোনও ত্রুটি রাখেননি। ফলে তিনি শাক্যমুনির উপদেশের মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তিনি এই মর্মার্থ সকলকে বুঝিয়ে বলেছেন, এবং প্রমাণ করেছেন যে শাক্যমুনির উপদেশ আজও আমাদের জীবনে প্রযোজ্য। তিনি বৌদ্ধধর্মের আধুনিক গবেষণালব্ধ ফলকে ভিত্তিরূপে গ্রহণ করে, বুদ্ধের ধর্মকে আমাদের জীবনে প্রতিফলিত করে কীভাবে সত্যিকারের সুখী জীবন যাপন করা যায়, তা অতি সরল ভাষায় বুঝিয়ে বলেছেন। শাক্যমুনির উপদেশ গত আড়াই হাজার বছর আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে। আশা করি এই ব্যাখ্যা বাংলার পাঠক মণ্ডলীর দৈনন্দিন জীবনের পাথেয় ও জীবন যাত্রার পথিকৃৎ রূপে কাজ করবে।

Authors:
সরোজকুমার চৌধুরী

অনুবাদক সরোজকুমার চৌধুরী ১৯৫৬ সালে ভারতের শিক্ষা মন্ত্রালয়ের বৃত্তি নিয়ে দু বছর জাপানে জাপানি ভাষা নিয়ে পড়াশুনো করেছেন। তিনি ভারতের রক্ষা মন্ত্রালয়ের বিদেশি ভাষা বিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের আইচি গাকুসেন দাইগাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানি ভাষা অধ্যাপনা করেছেন। তিনি টোকিওর এশিয়া ও আফ্রিকার ভাষা ও সংস্কৃতি গবেষণালয়ে (Institute for the Study of Languages and Cultures of Asia and Africa) ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।

0 review for পুন্ডরীক সূত্র - একটি সরল ব্যাখ্যা

Add a review

Your rating