এক শাশ্বত, জ্যোতির্ময় আধ্যাত্মিক রূপ যেমন মানুষকে হিমালয়ের দিকে টেনে আনে তেমনই এর আকাশচুম্বী শৈলশিখরগুলি দূর দূরান্তের অভিযাত্রীদের কাছে এক অজানা দুর্গমতার রোমাঞ্চকর আহ্বান পাঠায়। সেই আহ্বানে তাঁরা ছুটে আসেন, মরণসংকুল পথহীন পর্বতের শীর্ষে আরোহণ করেন। শিখরগুলির ডাক যাঁদের অন্তরে একবার সাড়া জাগায়, তাঁরা আর সুস্থির থাকতে পারেন না। কোন আনন্দের সন্ধানে এই দুঃসাহসিক অভিযান, উত্তুঙ্গ শীর্ষজয়ের সার্থকতাই বা কোথায়— এ সব প্রশ্ন অবান্তর। দুর্গম ও দুর্জ্ঞেয় যা কিছু, তা মানুষকে আকর্ষণ করে, উজ্জীবিত করে- এটাই বাস্তব সত্য। সেই সত্যের অনুসন্ধানে মানুষ বেরিয়ে পড়ে। তবে পর্বতাভিযানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা। রক-ক্লাইম্বিং থেকে মাউন্টেনিয়ারিং- পাহাড়ে ওঠা ও পাহাড় জয়ের এই শিক্ষা ছাড়া অভিযাত্রীদের সাফল্য করায়ত্ত হওয়া দুরূহ। দীক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয় চড়াই-উৎরাইয়ের পথে পথে পাওয়া বিপুল অভিজ্ঞতা। এই গ্রন্থের লেখক একজন দুঃসাহসী, পর্বত আরোহণ শিক্ষায় দীক্ষিত এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অভিযাত্রী। এখানে তিনি শুনিয়েছেন আরোহণ ও অভিযানের চমকপ্রদ কাহিনী। এই রচনাসমূহ এক সার্থক অভিযাত্রীর মৌলিক অভিজ্ঞতার সংকলন। পাহাড় থেকে পাহাড়ে রেখে যাওয়া অভিযাত্রীদের পদচিহ্নের ইতিহাস এই বইয়ের পাতায় পাতায়।