প্রশান্ত মৃধার বেশ কিছু চমৎকার লেখা আছে, ওর হাতেও অনেক ধরনের গদ্য।
-হাসান আজিজুল হক।
প্রশান্ত মৃধার গল্প পড়ার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে সংগীতবিদ্যা থেকে ধরতাই, স্থাপত্যবিদ্যা থেকে গড়ন, নৃত্যবিদ্যা থেকে চলন এই শব্দগুলো ধার নিতে হলো।
-দেবেশ রায়
তিনি বিশেষ করে পর্যবেক্ষণ করেন দক্ষিণাঞ্চলের প্রান্তিক ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনজীবন, যাদের প্রান্তিক অবস্থানের সঙ্গে আবার ধর্মপরিচয় যুক্ত হয়ে প্রান্তিকতাকে আরও নিপীড়নোপযোগী করে ফেলে।
-ইমতিয়ার শামীম
অভিনব ডিটেইলিং থাকে তাঁর বর্ণনায় আর এর জন্য তিনি ব্যবহার করেন সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দৃষ্টি।
-আহমাদ মোস্তফা কামাল
‘এমন অনেক কারিকুরি আছে যা কারিকুরি বলে মনে হয় না; আর তাতেই তাঁর মুন্সিয়ানা। গতি সহজ-সাবলীল। কিন্তু তলে তলে চোরা স্রােত, এমনকি বহুমুখী টান। ... যদিও ওপর-ওপর খুবই সাদামাটা, তেমন বুদ্ধির কসরত নিজেকে জাহির করে না, এবং সমস্যাও আমাদের দৈনন্দিন গ্রামীণ বাস্তবতায় অলীক মনে হয় না। তাই বলে কোথাও স্থূল নয়, গ্রাম্য নয়। রাজহাঁস যেন।’ প্রশান্ত মৃধার উপন্যাস বিগতকালের অনুমান সম্পর্কে একথা লিখেছেন বিশিষ্ট চিন্তক সনৎকুমার সাহা। এই সংকলনের পাঁচটি রচনায়ও পাঠক বুঝে নিতে পারবেন দৈনন্দিনতার নিঠুর বাস্তব এখানে কী নিপুণভাবে বাক্সময় হয়ে উঠেছে! আমাদের চারপাশের পরিচিত জগৎ এত সহজে সেখানে ধরা রয়েছে যে মনে হবে যেন এই চেনাজানা জীবন এতদিন চোখ খুলে দেখা হয়নি, অথবা আর-একবার দেখা হলো নতুন করে।