সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ বাংলা চলচ্চিত্র-শিল্পেরই যে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন, একথা আজ বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কীভাবে এ-বইয়ের চিত্ৰস্বত্ব পেলেন সেদিনের সম্পূর্ণ নবাগত ও নিঃস্ব এক পরিচালক, সেই কাহিনী কি আমরা জানি? কিছুটা জানলেও সবটা যে জানি না, বোঝা যাবে এই অন্তরঙ্গ গ্রন্থটি হাতে নিয়ে। এ-গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি পড়ে স্বয়ং সত্যজিৎ রায় লেখককে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, “বইটি প্রকাশিত হলে লোকে প’ড়ে অনেক তথ্য জানতে পারবে।”সত্যিই বহু অজানা তথ্য এই বইতে, বহু দুর্লভ নিদর্শনের পুনরুদ্ধার। ‘পথের পাঁচালী’র আনুপূর্বিক নেপথ্যকাহিনীই শুধু নয়, বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বিষয়েও বহু বিস্ময়কর তথ্য এখানে। আরও বিস্ময়কর বুঝি বিভূতিভূষণের পরিবারের, বিশেষভাবে তাঁর স্ত্রী রমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত প্রলোভনেও। অবিচল সেই মানসিকতার বিবরণ, যা কিনা সত্যজিৎ রায়ের হাতেই তুলে দিয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’। ‘অশনি সংকেত’ সম্পর্কেও একটি রচনা এই গ্রন্থের আকর্ষণ।