কাদের সিদ্দিকী এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম। এক বীর বাঙালির নাম এক ইতিহাস-পুরুষ তিনি, এক প্রকৃত দেশ গৌরব। এই কিংবদন্তি-বিনাসী ,ভীরুতাবিলাসী দেশে তাঁর মতো একজনের জন্ম। বিকাশ ও অক্ষয় কীর্তি স্থাপন নিঃসন্দেহে এক অপার বিস্ময়। এমন পতনমুখী আত্নঘাতী দেশে একজন বিপরীত স্রোতের যাত্রীর উদ্ভব ও অভ্যুদয় সকল অর্থেই অভাবনীয়, অকল্পনীয়। দুঃসময় কবলিত একাত্তর যখন একজন লড়াকু বীরের স্বপ্ন দেখছিল তখনই গর্জে উঠেছিল রনাঙ্গনে সাহসী নায়ক কাদের সিদ্দিকীর অস্ত্র-হানাদার শত্রুর প্রতি অমোঘ লক্ষ্যভেদী সেই অস্ত্রই ছিল মুক্তিযুদ্ধের উদাত্ত ঘোষণা। ঠিক তেমনই‘৭৫-এর ১৫ আগস্ট পিতাকে হারিয়ে জাতি যখন দিশেহারা, তখনো তিনি হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। সেই দুর্দিনে জাতির পিতার চতুর্থ সন্তান বলে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করে প্রতিরোধে দ্বিধা করেননি। সার্বভেীম স্বাধীনতার জন্যূ সেই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মহান প্রতীক তাই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।
মুক্তিযুদ্ধ এক অনিঃশেষ প্রক্রিয়া, তাই তিনি এখনো এক অতন্দ্র মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর জীবনপণ মুক্তিযুদ্ধ এখনো চলছে বৈরী সময় ও শক্তি বিরুদ্ধে। আবারও এক অপূর্ব আত্নপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর। তাই জননায়ক কাদের সিদ্দিকী এখন রাজনৈতিক রণাঙ্গনে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি আবার লড়ছেন দুঃসময়ের বিরুদ্ধে। এবার সঙ্গী তাঁর প্রতিদিনের জীবনযোদ্ধা মানুষ। তিনি দাড়িয়েছেন এই লাঞ্চিত-বঞ্চিত জনমানুষের কাতারে। তবে কাদের সিদ্দিকী এক সব্যসাচী যোদ্ধা। একাত্তরে অস্ত্র ধরেছেন দু’হাতে , এখনো সেই হাত দু’টিতে সঞ্চিত আছে অসীম ক্ষমতা। তাই দু্ই হাতে তাঁর দুই অস্ত্র। তিনি বলেছেন, সেই সঙ্গে লিখছেন। তাঁর লেখনীর অস্ত্র সকল প্রকাশ মাধ্যম এখন জ্বলন্ত সংগ্রাম। এ লেখনী অকম্প , অকুতোভয়। ‘বজ্রকথন’ , তাঁরা আমার বড় ভাই বোন,কার এক অনবদ্য সৃষ্টি। দু্ই যুগ আগে লিখেছিণেন মুক্তিযুদ্ধেরর উপর ‘স্বাধীনতা ‘৭১’ , ‘মাওলা ভাসানীকে যেমন দেখেছি’। অবহেলায় অপ্রকাশিত এখনো পড়ে আছে ‘চোখের আলোয় বঙ্গবন্ধু’। আরো কিছু অপ্রকাশিত খণ্ড অখণ্ড লেখা । সকল আলস্য কাটিয়ে নিশ্চয়ই ধীরে ধীরে সব লেখাই আলোর মুখ দেখবে।