‘দুখু’ উপন্যাসের সুবাদে উঠে এসেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের শৈশব-কৈশােরকাল। পাথর-কাঁকর ভরা গেরুয়া মাটির দেশ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রাম থেকে সুদূর ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাজীর শিমলার দরিরামপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। দুখুর এই চারণভূমি ও সময়কাল ধরে কি বাংলা সাহিত্যে আর কোনাে উপন্যাস রচিত হয়েছে?
না। দুখুর শৈশবকাল থেকে দরিরামপুর পর্যন্ত সময়কালকে ঘিরে। আলাদা কোনাে উপন্যাসের খোঁজ পাওয়া যায়নি। দরিরামপুর স্কুল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরই বাস্তবে বাল্যবন্ধু শৈলজানন্দের সঙ্গে তার নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল পশ্চিম বঙ্গের রানীগঞ্জের শিয়ারশেলে। শিয়ারশােল রাজ স্কুলের সেই জীবনকাল ও পরবর্তী ঘটনা নিয়ে কেউ ভােলে না কেউ ভােলে গ্রন্থটি লিখেছেন শৈলজানন্দ মুখােপাধ্যায়। কিন্তু মােহিত কামালের ‘দুখু’ উপন্যাসে ফুটে উঠেছে নজরুলের রাজ স্কুলের আগের জীবন। আগের সময়কাল।
অবধারিতভাবে এ উপন্যাসের অন্য প্রধান চরিত্র জানন্দ। তাদের। বন্ধুত্বের মর্মস্পশী ছোঁয়ায় নিশ্চয় জেগে উঠবে কিশাের-কিশােরী তাে বটেই, যেকোনাে বয়সী পাঠকের মনও-এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।