রিয়াদ, কাবুল, দোহা। তিন বন্ধু। ক্লাস এইটে পড়ে।
স্কুলে এই তিনজন রাজধানী এক্সপ্রেস নামে পরিচিত। কারণ তাদের তিনজনেরই তিনটি দেশের রাজধানীর নামে নাম।
রাজধানী এক্সপ্রেসের এই তিনজনের সাথে ওদের ক্লাস ক্যাপ্টেন মনজুরের বেশ মনকষা সম্পর্ক। সম্প্রতি তাতে আরও কষ যুক্ত হয়েছে। রিয়াদ, কাবুল আর দোহা তাই ঠিক করেছে মনজুরকে একটু টাইট দিতে হবে। ওরা আছে উপায়ের সন্ধানে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম সুলতান উদ্দিন। স্কুলে তিনি স্বরবর্ণ স্যার নামে পরিচিত। কারণ তার সব কথা শুরু হয় আ... দিয়ে।
হেডস্যারের ছায়াসঙ্গী কামাল স্যার। সারাক্ষণ হেডস্যারের পেছন পেছন থাকেন আর তার মন বুঝে চলেন। স্কুলে কথিত আছে তিনি হেডস্যারের মন হেডস্যারের চাইতেও ভালো বোঝেন। যে কারণে হেডস্যার তাকে পছন্দ করেন। আর আছেন মোসলেম স্যার। যিনি স্কুলে বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনে তৎপর। মোসলেম স্যার মনে করেন শিক্ষার সবকিছুই হতে হবে বৈজ্ঞানিক এমনকি শাস্তি প্রক্রিয়াও।
শীতের শুরুতে স্কুল থেকে পিকনিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঘন অরণ্যে ঘেরা এক সীমান্ত এলাকায় উপস্থিত হয় স্কুলবাস। কাঙ্খিত সুযোগ পেয়ে যায় রিয়াদরা। মনজুরকে ভয় দেখানোর জন্য ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাকে নিয়ে ঢুকে পড়ে গহিন জঙ্গলে।
কিন্তু ফল হয় উল্টো। মনজুরকে ভয় দেখাতে গিয়ে ভয়ের মধ্যে পড়ে যায় ওরা সবাই। জঙ্গলে হারিয়ে ফেলে পথ। ওদিকে জঙ্গল ভরা নানা বিপদ-আপদ। আছে হিংস্র জীব-জন্তু, ছেলেধরা, এমনকি ভুল করে সীমান্তের বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে পড়ার ভয়।
কি হবে উপায়?
তাদের উদ্ধারে শুরু হয় নানান তৎপরতা। জঙ্গলের মধ্যে ঘটতে থাকে মজার সব কাণ্ড।