কংক্রিটের অরণ্যে স্রোতস্বিনী নদী এই নামটি যখন ভেবেছি, এর মধ্যে অপূর্ব একটি কবিতার উপকরণ দেখতে পেয়েছি। এই লাইনটি আমেরিকার জন্যে খুবই প্রযোজ্য। দেশটির অপূর্ব রূপ-ঐশ্বর্যই যেন ফুটে উঠেছে কথাটিতে। মূলত নিউইয়র্ক শহরটির কথা চিন্তা করেই নামটি মাথায় এসেছে।
এদেশের যে শহরেই আপনি যাবেন, দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাকে বলে! পাহাড়, নদী, সমুদ্র আর বনাঞ্চল; সবকিছুই ছবির মতো সাজানো। আকাশটাও যেন অদ্ভুত সুন্দর। আর বড় শহরগুলোয় রয়েছে সারি সারি সুউচ্চ দালান।
সেই দালানগুলোকেই আমি বলছি, কংক্রিটের অরণ্য। কেননা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা ভবনগুলোকে দেখতেও ভালো লাগে, মন । ছুঁয়ে যায়। সেই কংক্রিটের অরণ্যেও নদী আছে। বাধাহীন অবিরাম বয়ে চলেছে স্রোতস্বিনী সেই নদীগুলো। টলটলে স্বচ্ছ তার পানি। কোথাও নদীকে মেরে ফেলার কোনো প্রচেষ্টা নেই। প্রতীকী অর্থে এই একটি নামেই আমার পুরো বইটির মর্মার্থ লুকিয়ে রয়েছে।
বইটিতে আমি আমেরিকার সৌন্দর্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাতে বেশিরভাগটা জুড়েই প্রাধান্য পেয়েছে প্রকৃতি। বিশেষ করে আমেরিকার । বৈচিত্রময় ঋতু-পরিবর্তন ও চোখের সামনে সবকিছু বদলে যাওয়া সুস্পষ্টভাবে। ধরা পড়ে। সে-অনুযায়ী মানুষের জীবনযাত্রাও বদলে যায়। সেইসাথে চলতে থাকে নানাধরনের উৎসব-আয়োজন। আমেরিকার প্রকৃতিকে আমি ভীষণভাবে ভালোবেসে ফেলেছি। ভালোবেসে ফেলেছি দেশটাকেও। একের-পর-এক অনুভূতির সাজাননা বিস্তারই হচ্ছে আমার এই বইটি
লেখাগুলো মূলত দেশের অন্যতম অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমে প্রকাশিত হয়েছে। কিছু কিছু প্রকাশিত হয়েছে দেশের জনপ্রিয় সাহিত্যপত্রিকা ‘শব্দঘর’সহ বিভিন্ন পত্রিকায়।
যারা বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন; তাঁদের সবার প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা।