শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু। তাঁর সম্পর্কে নতুন করে বলবার কিছু নেই। তিনি স্বনামেই দেদীপ্যমান। শৈশব থেকে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, জাতীয় শােক দিবস, সাত মার্চের অনুষ্ঠানসহ নানা উপলক্ষে তাঁর বজ্রকণ্ঠের ভাষণ শুনে শুনেই তাকে চিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে একটা সময় মনে হলাে এইসব ভাষণকে বই আকারে ডকুমেন্টেশন হওয়া জরুরি। এই ভেবে ইন্টারনেটে যে দুয়েকটা অডিও পাওয়া যায় তা নামিয়ে তিলিখন করি। তারপর আরাে বেশ কয়েকছর পর হাতে আসে বঙ্গবন্ধুর প্রায় শতাধিক ভাষণের অডিও সিডি, যেগুলাে ‘শেকড় সন্ধান নামক একটি প্রতিষ্ঠান ‘পিপল্স ভয়েস’ নামে প্রকাশ করেছে। তাদেরকে কারিগরি সহযােগিতা দিয়েছে ‘শতাব্দী প্রযুক্তি ডিজিটাল আর্কাইভ।' সেই শতাধিক ভাষণ থেকে বাছাই করে এই বইতে শ্রুতিলিপি রূপে প্রকাশ পেল ৬৭টি ভাষণ, যেইসব ভাষণকে আমি নানা কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে। করেছি। এইসব তিলিপির বানান বঙ্গবন্ধুর মুখের উচ্চারণ অনুযায়ী রাখার চেষ্টা করেছি। ফলত ভাষণগুলাে আমাকে বারংবার টেনে টেনে শুনতে হয়েছে। রেকর্ডের অস্পষ্টতার কারণে কিছু শব্দ বা কথা বাদ পড়েছে, সেইসব জায়গা ডট (...) দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ মনগড়া বা অনুমেয় কিছু লিখে দিলে ভাষণের চরিত্র ও মূলগত বৈশিষ্ট্য ক্ষুন্ন হবে বলে আমার মনে হয়েছে। এই অতিব কষ্টসাধ্য কাজ আমার দ্বারা সম্ভব হয়েছে, কারণ বঙ্গবন্ধুকে আমি দল, মত নির্বিশেষে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মনে করেছি বলে।