কলকাতার পূর্ব শহরতলি মাদুরদহ পেরিয়ে উচ্ছেপোতা। সেই গ্রামের বাদল গুছাইত কাঁচা শিঙাড়া বানিয়ে বিক্রি করেন শহরের বিভিন্ন দোকানে। বাড়িতে স্ত্রী, তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে। ছোট মেয়ে অপর্ণা মাধ্যমিক পাশ করে পড়া ছেড়ে দেয়। সংসারের কাজে হাত লাগিয়ে শিঙাড়া বানাতে ওস্তাদ হয়ে ওঠে। পার্কে বেড়াতে গিয়ে আলাপ সুমন্ত মজুমদারের সঙ্গে। সুমন্তর সঙ্গে সংসার পাতার আশায় সে বাড়ি ছাড়ে। কিন্তু মনে ভেসে থাকে বিপদের আশঙ্কা। বাড়ির কাঁঠালগাছে তখন ডিম দিয়েছে এক হলুদ পাখি।
পুরী যাওয়ার নাম করে দিল্লিতে, বন্ধু হায়দারের একচিলতে কামরায় অপর্ণাকে নিয়ে আসে সুমন্ত। হায়দার বাজিতপুর ডোমকলের বাসিন্দা। কাশির সিরাপ পাচার করত একসময়। ভালবেসে বিয়ে করে রেজিনাকে। পরে দিল্লিতে জিতেন্দরকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের মেয়েদের চালান করে দেশের নানা রেডলাইট এলাকায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে। জিতেন্দর প্রেমে পড়ে অঞ্জুর। পাচারের ব্যাবসা থেকে সরে যেতে চায়। এদিকে অপর্ণার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হায়দার এবং সুমন্ত, ওকে হাতছাড়া করতে চায় না কেউই। সেই জাল কেটে হলুদ পাখির কাছে ফিরে আসতে পারবে অপর্ণা? নাকি হারিয়ে যাবে অন্ধ গলিতে? তারই টানটান অনবদ্য আখ্যান হুমায়ুন কবীরের ‘উচ্ছেপোতার হলুদ পাখি’।