এক সন্ধ্যায় গোয়েন্দা নীলকণ্ঠ সেনের কাছে কিছুদিন ধরে ডাকে পাওয়া খামবন্ধ হেঁয়ালি-ভরা চিঠির তদন্তের অনুরোধ নিয়ে আসেন এক প্রৌঢ় সম্রান্ত ব্যবসায়ী অমূল্যবাবু। চিঠির খামের মধ্যে কিছু লেখা থাকত না, থাকত ইশকাপনের টেক্কা তাস। ভদ্রলোকের একান্ত অনুরোধে সেই হেঁয়ালি চিঠির তদন্তে রাজি হয় নীলকণ্ঠ। চিঠিগুলি দেখে নীলকণ্ঠ নিশ্চিত হয় যে চিঠিগুলি নেহাতই হেঁয়ালি নয়, এর মধ্যে ছিল কোনও গুঢ় বার্তা। চিঠির তদন্তে নেমে নীলকণ্ঠ জানতে পারে চল্লিশ বছর আগে অসম রাজ্য তথা ভারতের জাতীয় তাসের জগতে ধূমকেতুর মতো উদয় হওয়া চার অভিন্নহৃদয় বন্ধু ও পরমাসুন্দরী এক নারীর কথা। তাসের জগতে তাদের উত্থান যেমন আকস্মিক, তেমনই আকস্মিক তাদের হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া। অসমে তাসের জগতের খবর সংগ্রহের মধ্যেই কলকাতায় লোডশেডিং-এর এক সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির অফিস ঘরে কাজকরবার সময় রহস্যজনক ভাবে নিহত হন অমূল্যবাবু। হেঁয়ালি ভরা চিঠির অনুসন্ধান রূপ নেয় হত্যানুসন্ধানে। পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ অমূল্যবাবুর হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার করে তাঁরই বাড়িতে বড় হওয়া তাঁর শ্যালিকা-পুত্রকে। পুলিশের সঙ্গে নীলকণ্ঠ একমত হতে পারে না। নিজের পৃথক তদন্তে বহু বছর আগে নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া চার যুবক ও এক নারীর জীবনের ছিন্ন সুতোগুলিকে জুড়ে জুড়ে কেমন ভাবে সেই হত্যারহস্যের সমাধান করল নীলকণ্ঠ, তারই শ্বাসরোধকারী দুর্দান্ত কাহিনি ইশকাপনের টেক্কা।