প্রযুক্তির সাথে সাথে আমরাও হয়ে উঠেছি যান্ত্রিক। কিন্তু যান্ত্রিকতার এই জীবনে আমাদেরও যে হাসি কান্না আনন্দ আছে লেখক সেটিই বুঝাতে চেয়েছেন।
জটিল যান্ত্রিক জীবনে আমরা ক্রমশঃ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। কারন আজকাল আমরা বড্ড যন্ত্র নির্ভর হয়ে পড়ছি। যান্ত্রিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ যুগে আমরা বড়ই অসামাজিকও হয়ে পড়ছি। আজ দু’জন মানুষ একত্রে পাশাপাশি বসলেও প্রত্যেকে নিজ নিজ মুঠো ফোনে দূরের বন্ধুদের সাথে মেকি আড্ডা দিচ্ছে। অথচ পাশের বন্ধু বা আত্মীয়ের সংগে হয়ত নিতান্ত সামান্য দু’একটা কথাও হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবে তো আর আমরা যন্ত্র নই। বরং রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। আমাদের জীবনে রয়েছে হাসি কান্না আনন্দ বেদনার নানা অনুভূতি। আমাদের এসব অনুভ‚তিগুলো ক্রমশঃ দিন দিন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে।
একটা সময় মানুষ প্রচুর মেকি নয় বাস্তব আড্ডা দিতো। আড্ডায় হাসি তামাশা, জোকস, হই হুল্লোড়ের পাশাপাশি জ্ঞানের কথাও হতো। হয়ত একটি হালকা কথার মধ্য দিয়ে জীবনের রুঢ় বাস্তবতাই প্রকাশ হয়ে পড়তো। এ বইয়ের মাধ্যমে আমি তেমনি কিছু হালকা কথা, জোকসের মাধ্যমে আমাদের পারিপার্শ্বিক নানা বিষয়ের কথা বলার চেষ্টা করেছি। বিদ্যা বিতরণের বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। অতএব লেখাগুলো থেকে জ্ঞানের কোন কথা থাকলে তা বাদ দিয়ে রসটুকু গ্রহণ করলেই লেখার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করবো। আর রসের সাথে কেউ যদি দু’চারটা জ্ঞানের কথা গ্রহণ করেন তবে তা হবে উপরি পাওনা।