এক পারিবারিক শোকের আবহের মধ্যে হঠাৎই ঘটে যায় আরেক অঘটন। অপ্রত্যাশিতভাবে নিখোঁজ হয় এক অষ্টাদশী—সুশোভন ও লীনার একমাত্র সন্তান, ইনা। তারপরেই শুরু হয়ে যায় এক রুদ্ধশ্বাস অনুসন্ধান-কেন্দ্রিক ঘটনাপ্রবাহ। একদিকে ঘন হয়ে ওঠে সন্তানশোকের নিদারুণ আর্তি, অন্যদিকে উদ্ঘাটিত হয় সমাজ ও প্রশাসনের নির্লজ্জ চেহারা। চারপাশের সত্যাসত্যের মধ্যে নিজস্ব মূল্যবোধে সুস্থিত, এক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পিতার আত্মানুসন্ধানের কাহিনী হয়ে ওঠে ‘অন্তর্ধান’। সমকালের অন্যতম প্রধান লেখক দিব্যেন্দু পালিতের এই নতুন উপন্যাস সব-অর্থেই অভিনব। রূঢ় বাস্তব প্রকাশের স্বার্থে লেখক-কল্পনা যেখানে যুক্ত হয় প্রত্যক্ষ সংবাদের সঙ্গে, রচনাশৈলীতে এসে যায় তথ্যানুসরণের ধরন, একাকার হয়ে যায় কল্পনা ও বাস্তব কাহিনী পেয়ে যায় নতুন মাত্রা। এবং, শেষ পর্যন্ত, অন্তর্ধানের এই একক-উপাখ্যান বহন করে এক সার্বিক সংকটের ইঙ্গিত। কল্পনা ও সংবাদের এমন পরিকল্পিত মিশ্রণ বাংলা উপন্যাসে সম্ভবত এই প্রথম।